সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের পাচগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২৪ বছর ধরে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন আব্দুল হামিদ মণ্ডল (৬৫)। চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতনের আশায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দফায় দফায় নগদ ৪ লাখ টাকা ও ২৯ শতক নিজ জমি প্রদান করেন। কিন্তু ২৪ বছরেও তার চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। ওই পদে অন্য কাউকে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ।
আব্দুল হামিদ মণ্ডল বলেন, একটি চাকরি পাবো এমন প্রস্তাবে ২০০০ সালে নিজের ২৯ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে লিখে দেই। আমার দেওয়া জমির ওপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিনিময়ে আমাকে নৈশপ্রহরী পদে ৪র্থ শ্রেণির একটি চাকরি দেওয়া হয়। তবে ২৪ বছর চাকরি করেও আমার কপালে ১৬ আনা বেতন-ভাতাও জোটেনি।তিনি দাবি করেন, চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসে দফায়-দফায় তার কাছে থেকে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম বাবু ও প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ।
বিদ্যালয় ভবনের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলে তিনি বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো রকম বেতন-ভাতা না দিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ মণ্ডলের স্ত্রী দুলালী খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ২৪ বছর চাকরি করেও কোনো বেতন-ভাতা পায়নি। বেতনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দফায়-দফায় হাতিয়ে নিয়েছেন চার লাখ টাকা। এ ঘটনার তিনি ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন।
পাচগাছী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ জানান, এ সব মিথ্যা অভিযোগ, এসবের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন